Detail

Home - উন্নয়ন - প্রবন্ধ: ‘ব্যাক্তিপূজা নাকি প্রতিষ্ঠান-পদ্ধতি-সিস্টেমের পূজা করবেন?’ – সফিকুল ইসলাম

প্রবন্ধ: ‘ব্যাক্তিপূজা নাকি প্রতিষ্ঠান-পদ্ধতি-সিস্টেমের পূজা করবেন?’ – সফিকুল ইসলাম

যে কোনো বিষয়কে আমরা হালকা করে ফেলি যাকে তাকে সিম্বোলাইজ করে। যেমন বিশ্বাসঘাতকতার জন্য আমরা মীরজাফরকে সিম্বোলাইজ করে ফেললাম। ভাবখানা এমন যে আর কেউ এ বাংলায় মীরজাফর নাই। যেমন আমরা দুতিনজনকে ফ্যাস্টিস্ট বা স্বৈরাচার উপাধি দিয়ে দিলাম। উপাধি দিয়ে কেবল দুতিনজনকেই ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার হিসেবে ঘৃণা-পূজা দিতে থাকলাম। ভাবখানা এমন যে আর কেউ কোনো কালে ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার ছিল না।

.
আবার ইতিবাচকতার দিক থেকেও আমরা দুচারজনকে নায়ক বানাই, হিরো বানাই, জাতির কান্ডারি বানাই। পরে তাকে বা তাদেরকে জাতির আইকন বা পথপ্রদর্শক হিসেবে উপাধি দিই। পূজা করি, করতে করতে একবারে সব ক্রেডিট বা স্তুতি তাকে দিয়ে দিই। ভাবখানা এমন যে এ বাংলার স্বাধীনতা আনয়নে বা গণতন্ত্র আনয়নে বা বাকস্বাধীনতা আনয়নে বা মানবাধিকার রক্ষায় আর কারও কোনো ভূমিকা ছিল না।

অথচ হওয়া উচিত এমন যে, যেসব কাজ ঘৃণার সেসব কাজকে ঘৃণা করবো, আর যেসব কাজ প্রশংসার, সেসব কাজকে প্রশংসা করবো। যদি তা করা হয় , তবে গণমানুষ প্রশংসার কাজ নিয়ে মত্ত থাকবে ও ঘৃণ্য কাজকে বর্জন করবে।

এখন গণমানুষ ব্যাক্তিপূজা ও ব্যাক্তিঘৃণায় মজে আছে। ব্যাক্তির বাইরে তাদের কাছে কোনো সিম্বল নেই, প্রতীক নেই। বুদ্ধিজীবী ও স্বার্থান্বেষী মহল ইচ্ছে করে রাজনৈতিক অর্থনীতির ফায়দা গ্রহণের জন্য এ ধরণের ব্যাক্তিপূজা ও ব্যাক্তি ঘৃণা তৈরি করে। সত্যিকার বুদ্ধিজীবী ও আলোকিত মানুষদের উচিত উত্তম কাজের স্তুতি করা, উত্তম কাজকে ছড়িয়ে দেওয়া। গণমানুষ যেন কেবল উত্তম কাজে মত্ত থাকে, আর মন্দ কাজগুলো থেকে বিরত থাকে।

স্বৈরাচার নয়, স্বৈরাচারীপনা থেকে দূরে থাকুন

আইডল বা প্রতীক নয়, উত্তম কাজে মত্ত থাকুন।

আমরা যারা মনে করি স্বৈরাচার মানে অমুক বা তমুক কিংবা এই কয়জন বা ১০০ জন, এটা ভুল দিকে ধাবিত হয়। কারণ এ লোকগুলোর বাইরে যে আরও হাজার স্বৈরাচার মানসিকতার লোকজন চারপাশে বিদ্যমান তারা তখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারণ আমরা কেবল কতিপয় ব্যক্তিকে ঘৃণা করি। তাই গণমানুষ ধরে নেয় যে ওই কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া আর সকলে সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। প্রকৃতপক্ষে জনতার জানা উচিত স্বৈরাচারের কাজগুলো কী, বৈশিষ্ট্যগুলো কী। সেগুলোকেই গণঘৃণার মুখোমুখী করতে হবে।

যেমন স্বৈরাচার মানে অন্যের মতামত সহ্য করতে না পারা, ভিন্নমতকে শুনতে না চাওয়া, ভিন্নমত যৌক্তিক হলেও তা গোয়ার্তুমি করে এড়িয়ে যাওয়া, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গণমানুষের পাল্স না বোঝা, এককভাবে বা কেন্দ্রীয়ভাবে কতিপয় মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবাায়ন করা, কতিপয় এলিটের অলিগার্ক করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা, জনরোষ যত বেশিই হোক না কেন পাত্তা না দেওয়া, দেশীয় ও প্রতিবেশীদেরকেও দমনে ব্যবহার করা, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা, সকল বাহিনীকে ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা, জনমত বা সচেতন নাগরিকদের যৌক্তিক দাবিগুলোকে তু্চ্ছতাচ্ছিল্য করা, যৌক্তিক আন্দোলনকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা সমাজদ্রোহ মনে করা, নানান লেভেলিং দিয়ে আইনের শাসনের পরিবর্তে দমনপীড়ণে আইন ও বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করা।

তো এগুলো হলো স্বৈরাচারের কর্মকান্ড। এখন একাজগুলো যে করবে সেই স্বৈরাচার হবে। যেহেতু আমরা কতিপয় ব্যক্তিকে স্বৈরাচার টার্ম দিয়ে ঘৃণা করি, সেহেতু সমাজের আরও যারা নতুন ক্ষমতায় আসে তারাও স্বৈরাচার বনে যান। আমরা যদি কতিপয় ব্যক্তিকে ঘৃণা না করে, তাদের কাজগুলোকে আলাদা করতাম, ডিফাইন করতাম, চিহ্নিত করতাম ও ঘৃণা করতাম, তাহলে ওসব কাজ হলেই আমরা জনতা প্রতিবাদে ফেটে পড়তাম। আমরা তা করি না। আমরা কতিপয় ব্যক্তিকে স্বৈরাচার মনে করি এবং স্বৈরাচার পালালেই আমরা খুশি হয়ে নতুনদের ছাতার নিচে দাঁড়াই। নতুনজন যে আবারও সেসব স্বৈরাচারি কাজকর্ম শুরু করেছেন, তা আমরা চর্মচোখে দেখি না। দেখলেও সেটা আমাদের কাছে শক্তভাবে ধরা দেয় না।

যে কারণে ৭১ এ পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের দূর করে জনতার পছন্দের লোকদের আমরা দায়িত্ব দিই। পরে দেখা গেলো সেখানেও আবার কতিপয় মিলে উপরের স্বৈরাচারীর বৈশিষ্ট্যমূলক আচরণ শুরু করেছে। ৭৫-৮১তে যারা ছিল তারাও কমবেশি এসব উথানপতনে গিয়েছে। ৯১-৯০ আবার নতুন কজন স্বৈরাচার আমরা দেখলাম। ৯০ এ স্বৈরাচার হটিয়ে আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছি। কিন্তু সুক্ষ্মভাবে খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাবো যে, ৯১-২০০৮ সময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা কোনো না কোনোভাবে স্বৈরাচারির বৈশিষ্ট্যমূলক কোনো না কোনো কাজ করেছে। আর ২০০৮-২০২৪তো আমাদের সকলের দেখা-জানা হলোই। এখন ২০২৪ পরবর্তীতে কী হচ্ছে বা হবে তাও আমরা বুঝে যাবো অনায়াসে।

প্রতিটি শাসনকাল ধরে ধরে যদি মোটাদাগের কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে আমরা দেখবো যে বাংলার জনগণ এক স্বৈরাচার দূর করে আরেক স্বৈরাচার ঘরে তুলেছে। ধরণ বা রকম হয়তো ভিন্ন, কিন্তু ফলাফল বা প্রভাব একই।

তাই আমার বক্তব্য হলো, ব্যাক্তিপূজা ও ব্যাক্তিঘৃণা বন্ধ করে, বরং তাদের কাজগুলোকে ঘৃণা বা প্রশংসা করতে হবে। তথা স্বৈরচারেরা যা যা করেছে তা তা যখন নতুন কেউ করা শুরু করে তখনই বিক্ষোভে ফেটে পড়তে হবে। মন্দ কাজ বা স্বৈরাচারি আচরণ বা দমনপীড়ণ মাত্রই স্বৈরাচারের কাজ, সেসব কখনোই হতে দেওয়া যাবে না।

বিজয়ীরা ইতিহাস লিখে। লেখার সময় বিজয়ীদের গুণগাঁথা লেখা হয়, আর পরাজিতদের নামে কিছু সত্যের পাশাপাশি অজস্র মিথ্যা বয়ান তৈরি হয়। পরাজিতরা প্রতিবাদ করতে পারে না। করলেও তা ধুপে টিকে না।
৭১-৭৫ পর্যন্ত আমরা একরকম বয়ান দেখেছি। ৭৫-৮০ আরেকরকম বয়ান পেয়েছি। ৮১-৯০ আবার অন্যরকম খেলা। ৯১-২০০৮ ইতিহাসের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আর তারপরে ১৬ বছর আবার নতুন নির্মান ও পুনর্নিমানের ইতিহাস আমরা পড়েছি, শুনেছি। ২০২৪ পরবর্তী খেলায় আবার আমরা নতুন বয়ানের পথে হাঁটছি।
পথ যতই হোক, সত্যের পথে হাঁটা আমাদের হলো না। যদিও কতিপয় আলোকিত মানুষ এসব বুঝেন, তবু গণমানুষকে নানানভাবে রাজনৈতিক অর্থনীতির খেলায় ফেলে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ এসব শুনতে শুনতে দেখতে দেখতে গ্রহণ করতে না চাইলেও গ্রহণ হয়ে যায়।

নতুন প্রজন্ম অবশ্য আগের খবর দেখে নি, জানে না। তবে গত ২০ বছরের খেলা দেখেই বুঝতে পারে যে, জানার ও বোঝার শেষ নেই। ইতিহাস লেখার কথা ইতিহাসবিদগণের এবং তাই জনতার পড়ার কথা। কিন্তু না। ইতিহাস নির্মান করেন, বিনির্মান করেন, প্রচার করেন, বহাল করেন সবা রাজনীতিবিদেরা। সুতরাং রাজনৈতিক পালাবদলে ইতিহাসের বিনির্মান, পুননির্মান ও প্রচার চলমান থাকে। সেকারণে ইতিহাসের গতি পরিবর্তিত হয়, আবার পুনরাবৃত্তিও হয়। সমস্যা হলো মানুষ সব মনে রাখে না। বা রাখতে চায় না।

 

যখন আমরা কাউকে হিরো বানিয়ে অতিমাত্রায় পূজা করা শুরু করি। তখন কয়েকটি ঘটনা ঘটে। যাকে পূজা করা হচ্ছে তার গুণগুলোকে কেবল মুখে মুখে স্মরণ করা হয়, কাজে বাস্তবায়ন করা হয় না। বরং যাকে সিম্বলাইজ করে পূজা করে যাচ্ছি, তার নাম বিক্রি করে যত অনিয়ম ও কুকর্ম আছে তা করে যাই। তার নামে নানান প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা বানাই, তার নামে সরকারি অর্থের অপচয় করি, তার নামে স্লোগান দিই আর খাসজমি দখল করি, ফুটপাথ দখল করি, পদ দখল করি, পদোন্নতি বাগিয়ে নিই। তার নামের গুণ গাই আবার হলের সিট দখল করি, ধর্ষণ বা ইভটিজিং করি, চাঁদাবাজি করি।  তথা তার নামে স্তুতি করার মূল ফোকাস হচ্ছে নিজের আখের গোছানো।  আর যেহেতু গায়ে সিম্বলের পোষাক আছে, মুখে সিম্বলের স্তুতি আছে সেহেতু যত আকামই হোক না কেন সেখানে প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও বিচার সংস্থা স্বাধীনভাবে কোনো ভূমিকা রাখতে আড়ষ্ট হয়। সঙ্গতকারণেই ব্যাক্তিপূজা দেশের কোনো কল্যাণে আসে না।

যখন কাউকে আমরা ঘৃণার সিম্বল বানাই তখনও জনমনে এ ধারণ প্রোথিত হয় যে, ওই লোকগুলোই মন্দ আর কারও সমস্যা নেই। তারপর দেশ যার হাতেই যাক দেশ সুন্দরভাবে চলবে। বাস্তবে তা চলে না। এখন নতুন যারা ক্ষমতায় আসে তারা রাজ্যের অনিয়ম করলেও কোনো গণমানুষ সহজে চেপে ধরে না। তারা ভাবে মন্দলোকতো সব দেশ ছেড়েছে বা জেলে পুরে রাখা হয়েছে। এখন যারা ক্ষমতায় তারা এরকম মন্দ কাজ আর করতে পারে না। এভাবেই মন্দকাজ আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, প্রতিষ্ঠান, সিস্টেম আবারও দাঁড়ায় না। সব কয়েকজনের ইশারায় হয়। এতে করে নতুন করে আবার স্বৈরাচারী কাজ কর্ম বাড়ে, দেশের সম্পদ লুন্ঠন বাড়ে, নিয়ম ভাঙ্গার খেলায় জনে জনে মেতে উঠে। নতুন অলিগোপলি ক্ষমতার বলয় তৈরি হয়।

যদি ব্যাক্তি পূজা বা ব্যাক্তি ঘৃণা না হতো, তবে দুটি ঘটনা ঘটতো। প্রথমত মানুষ উত্তম কাজের প্রশংসা করতো ও উত্তম কাজের দিকে মানুষকে আহবান করতো। আর মন্দ কাজ বর্জন করতো, মন্দ কাজে মানুষকে বিরত রাখতো।

দ্বিতীয়ত, দেশের প্রতিটি কাজে, সংগঠনে ও দপ্তরে সিস্টেম বা পদ্ধতি দাঁড় করাতো। সকল উত্তম বেঞ্চমার্ক গ্রহণ করে, সকল মন্দ উদাহরণ বাতিল করে যদি প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড় করানো যায়, তবে লোক কে আসলো গেলো বিষয় না। প্রতিষ্ঠান শক্ত মেরুদন্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, এতে সিস্টেম, পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন কড়াকড়িভাবে অনুসরণ করা হবে।

বাংলাদেশের জনগণের উচিত এধরণের ব্যাক্তিপূজা, ব্যাক্তিঘৃণা বন্ধ করে, উত্তম কাজের লিস্ট করে অনুসরণ করতে ধাবিত হওয়া, আর মন্দ কাজের লিস্ট করে করে তা বর্জন করার দিকে ধাবিত হওয়া।  এতে করে নতুন করে কেউ এসে আর হিরো সাজতে আসবে না, জাতির ত্রাণকর্তা সাজতে আসবে না। আবার ত্রাণকর্তা হওয়ার পরে স্বৈরাচারে রূপান্তরও হতে পারবে না। গণমানুষের উচিত বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান, পদ্ধতি, সিস্টেম ও নিয়মকে বহাল করা, পূজা করা ও মান্য করা। তাহলে ব্যাক্তি-নেতারা চলে গেলেও দেশ, সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন সহজভাবে সুন্দর ও সাবলীলভাবে চলতে পারবে। প্রতিষ্ঠান, পদ্ধতি, সিস্টেম দাঁড়িয়ে থাকবে। জনতা বা নেতার একাংশ দায়িত্ব পালন করতে আসবে, সেবা দিবে ও চলে যাবে। এতে করে দেশের বা সমাজের বা প্রতিষ্ঠানের বা সংগঠনের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ ব্যাক্তিপূজা ও ব্যাক্তিঘৃণা চলমান থাকলে ব্যাক্তি যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিষ্ঠান বা সমাজ বা সরকার একভাবে চলে, ব্যাক্তি চলে গেলে প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে পড়ে বা ধ্বংস হয়ে যায়। ব্যাক্তিপূজা বা ব্যাক্তিঘৃণা নয়, প্রতিষ্ঠান-পদ্ধতি- ও সিস্টেমের পূজাই দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।

ব্যাক্তিপূজা বন্ধ হলে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব গঠন ও বাছাই প্রক্রিয়া সুসংহত হবে, ব্যাক্তিপূজা বন্ধ হলে আমলাতন্ত্রের ভিতরে সিস্টেম ও পদ্ধতি কাজ করবে, কাজ না করে কেবল কথার পন্ডিতি আর দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে পদোন্নতি ও পদায়ন বন্ধ হবে, রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তখন সহজ ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। এসব দল, সমাজ, সরকার, প্রতিষ্ঠানে কোন ব্যাক্তি আসলো বা গেলো তাতে কিছু যাবে আসবে না। প্রতিষ্ঠান তার নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হবে।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠান-পদ্ধতি-সিস্টেমেই দেশ চলে, আমাদের মতো ব্যাক্তিনির্ভর সমাজ বা প্রতিষ্ঠান তৈরি ও ধ্বংস হয় না। সুতরাং ব্যাক্তিপূজা বা ব্যাক্তিঘৃণা নয়, প্রতিষ্ঠান-সিস্টেম-পদ্ধতি-নিয়মকানুনের পূজাই দেশকে ও দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে পারে।

Share Now
Author

Dr. Shafiqul Islam

(BBA, MBA, DU; Mphil, Japan; PhD, Australia) Deputy Secretary, Government of Bangladesh. Chief Executive Officer, Cumilla City Corporation, Local Government Division, Ministry of LGRD

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Rating*

error: Content is protected !!

My Shopping Cart