ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেমোরি
এইচইসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে স্ট্যান্ড করে ঢাকায় এসেছি বন্ধু জসিমের হাত ধরে। ঢাকায় এসে বশির ভাইদের বাড়িতে এক রাত ছিলাম। পরে ধনিয়াতে এক বাসায় থাকি। ছাত্র পড়ানোর বিনিময়ে থাকা খাওয়া। তখনই ঢাকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো সেসব নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা। সেখানেই ভর্তি হতে হবে। তাই একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে ধনিয়া বা যাত্রাবাড়ি থেকে বাসে উঠি। শাহবাগ নামবো। শাহবাগ নামিয়ে দিলো।
একা একা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতেছি। আমার মাথায় ছিল স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি মানে একটা বড় মাঠ আর একটা বা দুটো বড় বিল্ডিং। তো শাহবাগ নেমে একজনে জিজ্ঞাসা করলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনদিকে? তারা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। জাদুঘর পেরিয়ে, পাবলিক লাইব্রেরি পেরিয়ে, চারুকলা পেরিয়ে, কাজী নজরুলের সমাধি আর মসজিদ পেরিয়ে টিএসসি চলে এসেছি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর পাচ্ছিনা। মাথায় শুধু চিন্তা করছি, বড় একটা মাঠ আর বড় একটা বিল্ডিং যেখানে লেখা থাকবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়‘। সেরকম কোনো ভবন চোখে পড়তেছেনা।
রোকেয়া হল, গ্রন্থাগার গেট, গুরুদোয়ারা পেরিয়ে, ল্যাবরেটরি স্কুল, এফ রহমান হল পেরিয়ে নীলক্ষেত চলে গেছি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছিনা। নীলক্ষেতে একজনকে জিজ্ঞেস করলাম। সে আবার আমাকে পেছনে ব্যাক করতে বললো। দেখিয়ে বললো ওটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কী আর করা। ফিরে এলাম। হাঁটতেছি আর খুঁজতেছি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর পাচ্ছিনা। কলা ভবন, আর ব্যবসা অনুষদ পেয়েছি, সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখা ছিল কিনা চোখে পড়েনি।সূর্যসেন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ও অন্যান্য হল ঘুরে চলে এসেছি। হল মানে যে হোস্টেল সেটাও তখন জানিনা। যাই হোক হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হবার পথে । তখন কলা ভবনের সামনে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বসে পড়ছি। বসে পাশেই বসা একজনকে জিজ্ঞেস করলাম। ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনটা? ছেলেটি আমার দিকে এমন করে তাকালো! যাই হোক, সে মনে হয় বুঝতে পারলো। সে বললো এটাই। আমি বললাম কোন বিল্ডিংটা? সে বললো এটাসহ চারপাশে যত বিল্ডিং দেখেন সবই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ততক্ষণে মাথায় টনক নড়ে। তাইতো, অনেক বিভাগ, অনেক সাবজেক্ট, বিশ্ববিদ্যালয়তো আর গ্রামের কলেজ স্কুলের মতো হবে না!
২।
আরেকটা ঘটনা ঘটে। যাত্রাবাড়ি থেকে বাসে ওঠে শাহবাগ নামার কারণে দিক ভুল হয়ে যায়। শাহবাগ মোড়ে দিক ঠিক আছে। মোড় পেরিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় এটা হয়। নেমে পূর্বদিকে টিএসসি মনে হয়। তথা শাহবাগের আগ পর্যন্ত দিক ঠিক আছে। ক্যাম্পাসে ঢুকার পরে দিক ভুল হয়ে যায়। সেই যে প্রথমবার দিক ভুল হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে আমার দিক আর ঠিক হয়নি। সারা ঢাকায় দিক ঠিক কাজ করে মাথায়। নীলক্ষেত পেরিয়ে, বা পলাশী ক্রস করে বা কার্জন হলের মোড় পেরিয়ে কিংবা শাহবাগ পার হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকা মাত্র আমার দিক ভ্রান্ত হয়ে যায়। এ ভুল নিয়েই পরে ভর্তি পরীক্ষা দিই আর ক্যাম্পাস জীবন কাটিয়ে দিই। সূর্য দেখে বা চিন্তা করে দিক বুঝি। কিন্তু অটো কাজ করেনা। কোনো জায়গায় একবার দিক ভুল হলে পরে যতবারই যাবেন সেখানে আপনার কাছে দিক অন্যরকম মনে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে শত-পর্ব লিখবো যদি সময় পাই।
………………..
ভর্তি পরীক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিব। প্রস্তুতি সেরকমভাবেই নিলাম। আমি জসিম ও সাগর তিন বন্ধু এমনভাবে ফরম কিনলাম যেন একসাথে সিট পড়ে।তখন একসাথে ফরম কিনলে একসাথে সীট পড়তো। তিনজনই জানের জান বন্ধু। একজন ছাড়া অন্যজন পড়া অসম্ভব- এই হলো মনের অবস্থা। ভর্তি পরীক্ষার সীট পড়লো সম্ভবত কার্জন হলের কোনো কক্ষে। পরীক্ষা শুরু হলো।
আমার বাঁপাশে সাগর আর পেছনে জসিম। আমি যা দাগাই তাই যেন বন্ধুরা বৃত্ত ভরাট করতে পারে সেভাবেই প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র খুলে রেখেছি। দুই বন্ধু দেখতেছে। তিনবন্ধু মৃদু আলাপও করছিলাম ফিসফাস। প্রত্যবেক্ষক টের পেয়ে প্রথম বার সতর্ক করলেন। এরপর আমি চুপ করে গেলাম। কিন্তু এমনভাবে বসেছি যেন দুজনেই দেখতে পারে। কিন্তু প্রত্যবেক্ষক আবারও টের পেয়ে গেলেন। কড়া ধমক দিলেন। এভাবেই প্রথম ১০-১৫ মিনিট চলে গেলো। এরপর আবারও যখন দেখাদেখি হচ্ছে প্রত্যবেক্ষক কাছে এলেন। এসে আমার উত্তরপত্র নিয়ে গেলেন। আমি বললাম আমিতো দেখি নি। পরীক্ষক বললেন ‘‘তুই নষ্টের গোড়া। তুই দেখাচ্ছিস তোরটা নিলে আর কেউ দেখার উপায় থাকবেনা।‘‘ এরকম মোক্ষম জবাবে আমি চুপসে যাই।
চোখের সামনে অন্ধকার দেখি, সকল প্রস্তুতি ভেস্তে যাবে দেখি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হলে কী কী সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি চোখের সামনে সেকেন্ডের মধ্যে রিপ্লে হতে থাকে। আমি প্রবীণ এ শিক্ষককে অনুনয় বিনয় করে বললাম স্যার আপনি আমাকে যেখানে খুশি বসান তবু আমার খাতাটা দেন। আমার পরীক্ষা ভালো হবে, আমি টিকবো। কিন্তু স্যার নাছোড়বান্দা। রেগে আগুন হয়ে আছেন। আমি স্যারের হাঁটু জাপটে ধরে ফেললাম। বললাম স্যার আমার জীবনটা নষ্ট কইরেন না, আপনি যেখানে খুশি বসান। লাগলে আপনার সামনে এ ফাঁকা বেঞ্চে বসান, তবু আমারে খাতাটা দেন, পরীক্ষা দিতে দেন। ততক্ষণে ৭/৮ মিনিট চলে গেছে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি সেকেন্ডের কী দাম, যারা দেন তারা জানবেন। আমি চরম হতাশা অনুভব করছিলাম। আমার অনুনয়ে স্যারের মন নরম হলো, আমাকে উত্তরপত্র ফেরত দিলেন ও সামনে বসালেন। একা। আমি দ্রুত যা পারি সব বৃত্ত ভরাট করলাম। হিসাব বিজ্ঞানের প্রশ্নগুলো সময় লাগবে। সেগুলো শেষে করবো বলে রেখে দিয়েছিলাম। শেষে বেশ কয়েকটি করতে পেরেছি। কয়েকটি করা হয় নি। টাইম শেষ। বের হয়ে এলাম। বের হবার সময় শিক্ষক ধন্যবাদ দিয়ে এসেছি।
পরীক্ষা এত দ্রুত দিয়েছি যে পরীক্ষা কেমন হলো বুঝতে পারলাম না। আবার মনে হলো ভালোই হয়েছে। যাক কিছুদিন পরে রেজাল্ট হলো। আমি ৩২০তম হলাম। যে কোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারতাম। হিসাববিজ্ঞানে ভর্তি হবো বলে মনে মনে ভেবেছিলাম। কারণ ওটাই ভালো পারি। কিন্তু বারান্দায় দাঁড়ানো বেশ কয়েকজনের মার্কেটিং এ পড়ার বিষয়ে পজিটিভ কথাবার্তা শুনে এবং কয়েকজনকে নিতে দেখে নিজে হঠাৎ মত পরিবর্তন করলাম। তখন স্যারদের কোন সাবজেক্ট পড়বো প্রশ্নে মার্কেটিং পছন্দ করেছিলাম। তারপরে মার্কেটিং মেজর রেখে বিবিএ এমবিএ শেষ করলাম। জানের জান দুই বন্ধু জসিম ও সাগর আমার সাথে ভর্তি হতে না পারায় মন খারাপ হয়েছিল খুব। ওরা জগন্নাতে হিসাব বিজ্ঞানে পড়েছিল।
২। এর মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ভর্তির জন্য যখন ডাকা হয় তখন মূল সনদ দেখাতে হয়। মূল সনদ আনার জন্য গ্রামে গিয়েছিলাম। মূল সনদ আনতে গিয়েই কাহিনী ঘটলো। কসবা থেকে বাসে করে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলি বাস স্ট্যান্ডে নামলাম। রিকশায় করে রেল স্টেশানে যাচ্ছি। হাতের ব্যাগটা পায়ের কাছে রেখে আরাম করে বসেছি।মেজাজ ফুরফুরে। বাতাসে লম্বা চুল উড়ছে। গুনগুন গান গাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছি- সে আনন্দে তা না না না মুডে ছিলাম। মহানগর চলে এসছে বিধায় দ্রুত রিকশা ভাড়া দিয়ে দৌড়ে গিয়ে ট্রেনে উঠলাম। ধাক্কাধাক্কির ফলে ভাঁজ খাওয়া শার্টের কলার ও চুলের ভাজ ঠিক করে নিলাম। থিতু হয়ে দাঁড়াতেই ট্রেন ছেড়ে দিল। ট্রেন ছাড়া মাত্র মনে পড়লো সার্টিফিকেটের ব্যাগটা রিকশায় ফেলে এসছি। এরপরে কী ঘটেছিল সে এক লম্বা হয়রানি আর কষ্টের ইতিহাস। থানা, স্কুল-কলেজ, কুমিল্লা বোর্ড! সে ইতিহাস লেখা আছে। আরেকদিন অন্যত্র পোস্ট করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা।
………………………
হলে ওঠা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন মিরপুর থাকি। মিরপুরে থাকা আর সম্ভব হচ্ছিলনা। আবাসন ছেড়ে দিয়েছি। তাই হলে উঠতে হবে। সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আমার সংযুক্তি। কিন্তু কীভাবে উঠবো বুঝে উঠতে পারছিলামনা। আমার নানার গ্রামের এক মামা থাকতেন সূর্যসেন হলে। ৫৫৫ নং রুমে। অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম। তাঁর কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি তিনি আর থাকেননা। পড়াশোনা শেষ, হল ছেড়েছেন। উনাকে ফোন করলে উনি শিপন ভাইয়ের কথা বললেন। উনার রুমে গেলাম। নবীনগরের সন্তান। আমার কথা শুনে কিছু জুনিয়র পোলাপান ডেকে সূর্যসেন হলের নিচতলার একটা রুমে তুলে দিলেন। রিডিং রুমের পাশেই সিঁড়ির গোড়ায় ১০৫ নম্বর রুমে। কিন্তু ওই রুমে আগে থেকে থাকা ২ বড়ভাই, এটা সহজে মেনে নিলেননা। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু বলেননি। আমি বুঝতে পারছিলাম তাঁরা আমারে নিয়ে মনোকষ্টে আছেন। আমিও ভাবছি জহুরুল হক হলে উঠতে হবে। কী নিয়ে যেন একদিন কারা এসে আমাকে বলে রুম ছেড়ে দিতে। পরে শিপন ভাইকে আবার বললাম। উনি উনার ফ্রেন্ড একজন জহুরুল হক হলে থাকেন, তাঁকে বললেন। সেই সুবাদে একদিন রাতে গিয়ে হাজির হই। উনি আবার আরেক ভাইয়ের কাছে নিয়ে যান। সেই ভাই বিস্তারিত শুনে পরের দিন রাতে যেতে বললেন।
পরের দিন রাতে ব্যাগ অ্যান্ড ব্যাগেজ গেলে তিনি আমাকেসহ আরও দুইজনকে বিস্তারিত শুনেন। তিনি কিছু কথা বলেন। তারপর তিনজনকে নিয়ে রওয়ানা দেন। সিদ্ধান্ত হলো বিভিন্ন রুমে যাবেন, যেখানেই ফাঁকা পাবেন, সেখানেই তুলে দিবেন। হাঁটতে হাঁটতে বর্ধিত ভবনের নিচতলার ১০১৬ নম্বর রুমে যাই। সেখানে ৪ বেডের রুমে ৭ জন আছে। প্রতি বেডে ২ জন করে ৮ জন থাকতে পারবে। সে হিসেবে আমাদের তিন জন থেকে ১ জন থাকতে পারবে।
এখন তিনজনের মধ্যে কে থাকবে? আমাদের তিনজনকে একে একে জিজ্ঞাসা করা হয়। এখানে কে থাকতে চাও? আর ২ জন উত্তর দিল যে তাঁদের খুব প্রয়োজন, তাঁরা থাকতে চান। আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে আমি ত্রিশ সেকন্ড চুপ থাকি। মনে মনে ভাবি আমারতো খুব দরকার, আজই দরকার। আমারতো কোনো উপায় নেই আমার। ওদেরও কি আমার মতোই দরকার?-মনে মনে ভাবছি। কিন্তু কী ভেবে যেন আমি উত্তর দিই ‘‘আমার মনে হয় ওদের দুজনের খুব প্রয়োজন, ওদেরকে আগে দিন, আমি পরে অন্য রুম পেলে থাকবো‘‘। আমার উত্তর শুনে বড়-ভাইয়ের পছন্দ হয়ে যায়। তিনি বলেন ‘‘সফিক সেক্রিফাইস-মাইন্ডেড। সুতরাং বাকি দুজন নয়, সফিকই এখানে থাকবে‘‘। আমি কিছু আনন্দ নিয়ে ভাইয়ের দিকে তাকালাম, আর কিছু দু:খ নিয়ে বাকি দুই জনের দিকে তাকালাম। সেই ভাই পরে দুজনকে নিয়ে বেরিয়ে গেছেন।
পরে ক্লাস আর সেমিস্টার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই। আর নিজের খরচ যোগানোড় জন্য টিউশনি করি। বিবিএতে নিয়মিত ক্লাস ও সেমিস্টার পরীক্ষা থাকায় সকাল থেকে বিকেল ক্যাম্পাসে ক্লাসের আশেপাশে বা লাইব্রেরিতে থাকতাম। বিকেলে যেতাম টিউশনিতে। মাঝে মাঝে গ্রুপ স্টাডি, একা স্টাডি আর ঘুরাঘুরি। হল লাইফ, ক্যাম্পাস লাইফ, আর টিউশনি নিয়ে অনেক ঘটনা আছে। টিএসসি, চারুকলা, মলচত্ত্বর, হাকিমচত্ত্বর, লাইব্রেরি, রোকেয়া হল, সামসুন্নাহার হলসহ নানান স্থান আর ইস্যু নিয়ে হাজার কাহিনী আছে। সব হয়তো/ বলা যাবেনা। তবে কিছু কিছু বলবো। কারণ সব বললে মজা থাকেনা! থাকনা কিছু গোপন, কিছু রহস্য!
-ড. সফিকুল ইসলাম।
(লেখাটি ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। কিংবা ইমেইল করতে পারেন অনুভূতি জানিয়ে Shafiq.bcs@gmail.com। শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকে বা লিংকডইনে। )